ভবঘুরে, ভিক্ষুক ও পাগলদের মাঝে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ইফতার বিতরণ

Jahangir Alam babu    |    ০৮:০৮ পিএম, ২০২০-০৫-০৬


ভবঘুরে, ভিক্ষুক ও পাগলদের মাঝে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ইফতার বিতরণ

করোনা দুর্যোগের এ সময় অসহায় রাস্তার পাশে, রেললাইনে, ছাদের নীচে যারা শুয়ে থাকে সেই ভবঘুরে পাগল, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী মানুষ ও বেওয়ারিশ অভূক্ত কুকুরের মুখে খাবার তুলে দিতে কাজ করছেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটি।  সংগঠনটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিএম কামরুল ইসলাম এসপিপি, এনডিসি (অবঃ) এর দিক নির্দেশনায় সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরীর নের্তৃত্বে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে এসব অসহায়দের খুঁজে বের করে মুখে আহার তুলে দিচ্ছেন সংগঠনের সদস্যরা।

৫ এপ্রিল ১১ রমজান চট্টগ্রাম রেল স্টেশন এলাকায় ১২৫ জন ভবঘুরে লোক, পাগল, ভিক্ষুক এর মাঝে ইফতার বিতরণ করেন  ।

এই সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের থাবায় সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও শ্রমজীবি মানুষ। তবে তাদের সাহায্যার্থে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে আছেন সরকার, নামী-দামী মানুষ ও প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বেওয়ারিশ অভুক্ত কুকুর, ভিক্ষুক, পাগল ও ভবঘুরে মানুষগুলোর কথা ভাবছেন কয়জন? এমনই প্রশ্ন তার।

করোনা আতঙ্কে সারা দেশে থেমে গেছে মানুষের কোলাহল। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বেকারি। এতে করে খাদ্য সংকটে  পড়েছে পাগল, প্রতিবন্ধী, ভবঘুরে মানুষ ও বেওয়ারিশ কুকুরগুলো। কেননা হোটেল-বেকারির উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়েই বেঁচে থাকে এ প্রাণীটি। আবার রাস্তায় যখন মানুষের চলাচল থাকে, বহু মানুষের ভিড়ে কেউ না কেউ এই অসহায় পাগলগুলোর মুখে খাবার তুলে দেন। তবে আজ সবই বন্ধ, তাই মানবিক কারণে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে এই কাজটি চালিয়ে যাচ্ছি। 

তিনি আরও বলেন, রমজানের শুরুতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংগঠনের সদস্যদের অবস্থা দেখতে গিয়ে দেখেছি- হাট বাজারে পাগল, প্রতিবন্ধী ও কুকুরগুলো অনাহারে কাঁদছে, হন্যে হয়ে খাবার খুঁজছে। তখন অনুভব করলাম এদেরও ক্ষুধা আছে, খাবারের জন্য ওরা হাহাকার করছে। করোনায় যখন রাস্তায় কোন মানুষই নেই এই মুহূর্তে তাদের পাশে দাঁড়ানো খুবই জরুরী। তাই যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর মোটামুটি সচ্ছল সদস্যদের ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় আমরা এই কাজটি করছি।